স্বদেশ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। গতকাল শনিবার বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুই ভাইয়ের বৈঠক হয়। এ সময় কাদের মির্জাকে শান্ত থাকতে বলেন ওবায়দুল কাদের। সাক্ষাৎ শেষে আবদুল কাদের মির্জাই আমাদের সময়কে এ কথা জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে ঝড় তোলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র কাদের মির্জা। ওই নির্বাচন চলাকালে তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে। ভোটের মাঠে মির্জা কাদের বারবারই বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের দু-একজন এমপি ছাড়া অন্যরা পালানোরও পথ পাবেন না। তিনি এখনো তার বক্তব্যে অনড় বলে জানিয়েছেন।
কাদের মির্জা তার দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গতকাল। এ বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মির্জা বলেন, ‘এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। নির্বাচনের পর ভাইয়ের আর দেখা হয়নি, তাই দেখা করতে এসেছিলাম। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা কিছু কমিটি পুনর্গঠন করেছি, সেগুলো ওনাকে জানিয়েছি। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ওই নির্বাচনও যাতে সুষ্ঠু হয় সে বিষয়ে কথা হয়েছে।’
নির্বাচনের সময় তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে ওবায়দুল কাদের কিছু বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মির্জা কাদের বলেন, ‘না। কেন বলবেন? এসব বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে তিনি আমাকে শান্ত থাকতে বলেছেন। যদিও আমাদের (দলের) ঘোষণাপত্রের ৫৮/৩/২ ধারায় বাকস্বাধীনতার কথা বলা আছে। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই কথা বলব। নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ করার জন্য শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যার উদাহরণ আমাদের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে আমি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব কর্মসূচি নিয়েছিলাম তা স্থগিত করেছি। আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন। শেখ হাসিনার কাছে নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে ইতোমধ্যে যেসব অভিযোগ গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।’
মির্জা আরও বলেন, ‘নোয়াখালীতে টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, অস্ত্র বাণিজ্য- এসব যদি বন্ধ না হয়, তা হলে প্রেসক্লাবে আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ এক মাস পর আমরা কর্মসূচি দেব।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার পৌরসভায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, আমি জয়ী হয়েছি। আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, তা আমি সব সময় বলব। আমি আজীবন এ কথা বলে যাব।’